December 22, 2024, 9:47 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার কান্ডারী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আওয়ামী রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতির বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর সদর উদ্দিন খান। সদর খান ছাড়াও আওয়ামী লীগের নমিনেশন পেতে আরও ৮ জন ফরম তোলেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে সদর খানকে প্রার্থী ঘোষণা করেন। সদর খান বর্তমানে খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে তিনি কুষ্টিয়অ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ।
জেলার প্রবীণ একজন রাজনীতিবিদ সদর উদ্দিন খান তৃণমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এক দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী। তার রাজনীতি শুরু হয় ১৯৭২ সালে খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে। তারপর থানা যুবলীগের সভাপতি, থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একটানা ১৮ বৎসর। এছাড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি একটানা ১০ বৎসর।
১৯৮৭ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ২০১০ সালে জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ২০১৪ সালে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও পরপর চার বারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
১৯৯৯ সালে খোকসা পৌরসভার প্রশাসক ছাড়াও সমাজসেবক হিসেবে কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার রয়েছে অসংখ্য অবদান। এছাড়াও তিনি খোকসাতে তার নামে-বেনামে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
দলের দুঃসময়ে তার ওপর হয়েছে বিভিন্ন মানবিক অত্যাচার। জাসদ, বিএনপি-জামায়াত, সেনাবাহিনী দ্বারা লাঞ্ছিত। বিশেষ করে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রতিবাদে এবং এক এগার জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের জন্য প্রতিবাদে এসব নির্যাতনের শিকার হন তিনি। কখনো গণগ্রেপ্তার কখনোবা একা।
২০১৪ সালে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর কুষ্টিয়া সাত ভাগে বিভক্ত করে জেলা আওয়ামী লীগকে এক কাতারে আনা। তারই ফল হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর বিশ্বাস রেখে তাকে পরপর দুই বারের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেন।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনেও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন।
সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় সদর খান দৈনিক কুষ্টিয়াকে বলেন পুরো জীবনটাই তিনি রাজনীতির জন্য উৎসর্গ করেছেন। জনগনের সেবাই তার একমাত্র ব্রত। এই মন্ত্র নিয়েই তিনি সারা জীবন ব্যয় করেছেন রাজনীতিতে। তিনি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুন স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে তিনি কাজ করে যাবেন।
Leave a Reply